-
Posted BY: admin
- July 5, 2020
- Category: Python, Uncategorized
পাইথন নিয়ে অনকের মনে অনেক প্রশ্ন দেখলাম। আপনি যদি বিগেনার হন, তবে আপনার জন্য স্টার্ট করাটা জরুরি। শুরু করুন। চেষ্টা করুন। নিজের পাওয়ার বের করে আনুন। নিজেকে আবিষ্কার করুন। নিজের শক্তি সম্পর্কে জানুন। একটা সময় পরে অটোমেটিক ফ্লোতে চলে আসবেন। আপনি বিগিনার আপনার চয়েজ হতে হবে বাইনারি মেথডে ০ বা ১। So, start your mission from now and go ahead.
পাইথনতো শিখবো বাট কোন ভার্সন?
আইটি সেক্টরে একটা বড় মেটার হচ্ছে নিজেকে সব সময় আপডেট রাখা। আপনি যখনই আপডেট তথ্য জানা বন্ধ করে দিবেন তখনই পিছিয়ে পড়বেন। সো পাইথন ২ কে এখন মৃত ভেবে পাইথন ৩ দিয়ে শুরু করতে হবে । অনেক বড় বড় প্রজেক্ট পাইথন ২ সাপোর্ট বাদ দিয়ে দিয়েছে । পাইথন ৩-ই বর্তমান এবং ভবিষ্যত । এই নিয়ে এখন আর কোন কনফিউশনের সুযোগ নেই ।
কিভাবে শুরু করবো?==================ফার্স্টলি, ঝংকার ভাইকে ফলো করলে অনেক মজার মজার তথ্য পেয়ে যাবেন। লেগে থাকুন।
নতুনদের জন্য একটা বই পড়ে সামনে আাগানোই শ্রেয় । যে কোন একটা বই নির্বাচন করুন । এরপর পড়া শুরু করুন । কোড অবশ্যই হাতে কলমে লিখে প্র্যাক্টিস করুন । শুরুতে নতুনদের জন্য লেখা বই পড়ুন । অন্তত ২টা বই অনুশীলনী সহ শেষ করুন । এরপর এ্যাডভান্সড কনসেপ্ট শেখা শুরু করুন । প্রবলেম সলভ করুন । এরপর একটা সেক্টর পছন্দ করুন, সেই সেক্টর রিলেটেড জিনিসপত্র শেখা শুরু করুন ।
কোড ইডিটর=============অামার মতে ভিএস কোড বেষ্ট।
তবে নতুনদের, শুরু করার সময় অবশ্যই টেক্সট এডিটর ব্যবহার করা উচিৎ এবং কমান্ড লাইনে রান করে করে শেখা উচিৎ । টেক্সট এডিটরের মধ্যে ভিএস কোড, সাবলাইম টেক্সট ভালো । উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা নোডপ্যাড++ ও ব্যবহার করতে পারেন ।
আইডিই হিসেবে পাইথনের জন্য পাইচার্ম এর কোন বিকল্প নাই । পাইচার্ম এর প্রফেশনাল ভার্সন কমার্শিয়াল । কিন্তু ওদের লিমিটেড ফিচারওয়ালা কমিউনিটি এডিশন আছে যেটা ফ্রী । শিক্ষার্থীরা ওদের এডুকেশন ভার্সন ফ্রী পাবেন ইউনিভার্সিটির ইমেইল ব্যবহার করে এ্যাপ্লাই করলে ।
পাইচার্ম ছাড়াও নানা ফ্রী আইডিই পাওয়া যায় । পাইডেভ এদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ।
যদি বই পড়তে অাগ্রহী হন=====================
নতুনদের জন্য বই হিসেবে “Automate The Boring Stuff with Python” খুবই ভালো । বইটি অনলাইনে ফ্রী পড়া যায় । “Learn Python The Hard Way” বইটি এক সময় পাইথন ২ এর জন্য জনপ্রিয় ছিলো কিন্তু বহুদিন ধরে এটি পাইথন ৩ এর জন্য আপডেট করা হয়নি এবং লেখক পাইথন ৩ এর বিপক্ষে নানা হাস্যকর প্রচারনা চালানোর ফলে কমিউনিটি এই বইটি অনুসরন করতে নিরুৎসাহিত করে । বইটি রিসেন্টলি পাইথন ৩ এর জন্য আপডেট করা হচ্ছে ।
এ্যাডভান্সড টপিক শেখার জন্য “Pro Python” এবং “Fluent Python” চমৎকার ।
পাইথন শেখার জন্য বাংলা বইয়ের সন্ধান পাওয়া যাবে এই ডকুমেন্ট এ – http://bit.ly/2AWRZUA ।
কিভাবে প্রাকটিস করবো=====================
কথায় আছে “প্র্যাক্টিস মেইকস এ ম্যান পার্ফেক্ট” । শুধু বই পত্র পড়লেই পাইথন শেখা যাবে না । সাথে সাথে কোড লিখে প্র্যাক্টিস করতে হবে । প্রত্যেকটা বইয়ের সাথেই কিছু অনুশীলনী দেওয়া থাকে । এগুলো অবশ্যই সমাধান করতে হবে ।
এর বাইরে প্র্যাক্টিস করার জন্য হ্যাকার র্যাংক, লিট কোড, ইউভিএ, প্রজেক্ট অয়লার সহ প্রচুর অনলাইন সাইট আছে যেখানে পাইথন কোড প্র্যাক্টিস করা যায় । এসব সাইটে প্রবলেম সলভিং এর মাধ্যমে নিজের পাইথন এবং প্রবলেম সলভিং স্কিল দুটোই এক সাথে ইম্প্রুভ করার সুযোগ আছে ।
আটকে গেলে কি করবো? Facebook group Young Coders: Learn Programming (Public Group)প্রথমতো, এই গ্রুপে স্ক্রিনসর্ট শেয়ার করতে পারেন। গুছিয়ে প্রশ্ন করুন। এখানে, অনেকেই এক্সপার্ট আছে। আশা করি কোনোনা কোনো সলিউশন পাবেন।
স্টাকওভার ফ্লো এ পোস্ট করবেন । পোস্ট করার সময় যত বেশী ডিটেইলস দেওয়া যায় তত ভালো । যিনি আপনার পোস্ট পড়বেন উনার মাইন্ড রিডিং সুপার পাওয়ার নেই । তাই উনাকে বোঝানোর জন্য আপনি কি করতে চেয়েছেন, কি কোড লিখেছেন, কি আউটপুট এসেছে, আপনি কি চেয়েছিলেন – বিস্তারিত উল্লেখ করুন । নাহলে সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম ।
সেই সাথে মাথায় রাখুন যারা উত্তর দিবে তারা আপনার সমস্যার উত্তর দিতে বাধ্য নয় । কেউ সাহায্য করলে ধন্যবাদ দিন, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন । কেউ উত্তর দিতে দেরী করলে বা কোন উত্তর না পেলে অপেক্ষা করুন, ধৈর্য্য ধরুন । রাগ বা ক্ষোভ দেখালে কেউ এসে দ্রুত সমাধান দিবে না বরং উল্টোটা ঘটার সম্ভাবনা বেশী ।
কি ভালো লাগে, আগে নিজেকে জানুন। ট্রাক নির্বাচন করুন।
পাইথনের ব্যাসিক টা ভালোভাবে রপ্ত হয়ে গেলে এক বা একাধিক ট্র্যাকে কাজ করতে পারবেন । নানা দিকে পাইথনের প্রচুর জনপ্রিয়তা আছে । ওয়েব ব্যাকেন্ড, ডাটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, কম্পিউটার ভিশন, বিগ ডাটা, সিস্টেম এ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডেস্কটপ এ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সহ নানা ধরনের অটোমেশন এ পাইথনের প্রচুর চাহিদা আছে । আপনার যেই সেক্টরটা পছন্দ সেদিকে অগ্রসর হোন । সেই ট্র্যাক রিলেটেড পড়াশোনা শুরু করুন । থিওরির সাথে সাথে জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্কগুলো শিখে নিন ।
লক্ষ্য ঠিক করুন
পাইথনের অনেক দিকে জনপ্রিয়তা আছে ঠিকই কিন্তু সারা জীবন শুধু পাইথন শিখে চালিয়ে দিলে হবে না । পাইথন দিয়ে সব কিছু ঠিকমত করাও যাবে না । যেমন অপারেটিং সিস্টেম বানাইতে গেলে পাইথন খুবই খারাপ চয়েস ।
পাইথন শেখার পর সি বা সি++ শিখতে কষ্ট হলেও এই দুটো ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে নেওয়া ভালো । এতে প্রোগ্রামিং এর অনেক ব্যাসিক কনসেপ্ট বেশ ভালো করে শেখা হবে ।
পাইথন টা ভালো করে আয়ত্ত করে পছন্দের সেক্টরে ব্যবহার আছে এরকম আরও দুই একটা ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা ভালো । যেমন: ডাটা সায়েন্সে কাজ করতে চাইলে কিছুটা “আর” শেখা ভালো । সিস্টেম প্রোগ্রামিং এর জন্য গো কিংবা রাস্ট । ওয়েবে জাভাস্ক্রীপ্ট । এছাড়া অন্য পারাডাইমের দুই একটা ল্যাঙ্গুয়েজ শেখাও ভালো আইডিয়া । যেমন ক্লোজার বা এলিক্সির ।
তবে এইগুলো সব শেখা আবশ্যক না । সবকিছু শেখাও সম্ভব না । সময়, প্রয়োজন আর লাভ এর কথা মাথায় রেখে শেখা ভালো । আর এগুলো শিখতে হবে অবশ্যই একটা ল্যাঙ্গুয়েজ (এক্ষেত্রে পাইথন) খুব ভালো করে শিখে । অনেকগুলো ল্যাঙ্গুয়েজ একটু আধটু জানার চেয়ে একটা গভীরে যেয়ে জানাটা বেশী জরুরী ।
পাইথন শিখে আসলে করবোটা কি?
দেশের ভিতরে ও বাইরে পাইথনের জব মার্কেট ভালো । ইদানীং বাংলাদেশে অনেক কোম্পানিই পাইথন ব্যবহার করা শুরু করেছে । তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু পাইথন শিখে জব পাওয়া যাবে না । ডাটা স্ট্রাকচার ও এ্যালগরিদমের ভালো জ্ঞান থাকতে হবে । সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর সাথে রিলেটেড নানা টুল (যেমন: ভার্সন কন্ট্রোল) ও টেকনিক (যেমন: ইউনিট টেস্টিং বা কন্টিনিউয়াস ডেপ্লয়মেন্ট) শিখতে হবে । অনেক কোম্পানিই নির্দিষ্ট কোন ফ্রেমওয়ার্কের অভিজ্ঞতা চাইবে । একজন ভালো প্রফেশনাল ডেভেলপার হওয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । সময় নিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তত করতে হবে । ৩ মাসে কিংবা ২১ দিনে পাইথন শিখে চাকরি পাওয়া যাবে না । তাই পাইথন (বা অন্য কোন ল্যাঙ্গুয়েজ) শেখার আগেই জব মার্কেট নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা মানে গাছে কাঠাল পাকার আগেই গোফে তেল দেওয়া ।